ভিসি স্যারের সাথে এক সন্ধ্যা

সারাদিন ক্লাস শেষে হাতিরঝিলে বসে চিন্তা করতে থাকলাম যে, আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবো কিনা। মূলত ক্লান্তিটাই আমার সিদ্ধান্ত নিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যাই হোক কিছুক্ষন পর সেখান থেকে উঠে চলে আসলাম আমার প্রানের সংগঠন বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের দিকে। 45 মিনিটের ভিতর চলে আসলাম ঢাবিতে। মূল উদ্দেশ্য ছিলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার এর সাথে বাংলাদেশ স্টাডি ফোরামের একজন সদস্য হয়ে স্যারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করা।
স্টাডি ফোরামের ঢাবি প্রেসিডেন্ট সাগর বড়ুয়া ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা 14-15 সদস্যের একটা টিম স্যার এর বাসার উদ্দেশ্যে গেলাম। যদিও স্যারের সাথে আমার এই নিয়ে ২য় সাক্ষাত। তারপরও আমিসহ সবাই মোটামুটি রোমানঞ্চিত ছিলাম। স্যারের সাথে আমরা আমাদের স্টাডি ফোরামের সমসাময়িক কার্যক্রম গুলোর কথা বললাম। বাংলাদেশ স্টাডি ফোরাম একটি জ্ঞানচর্চা ভিত্তিক সংগঠন। বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে যেনো পুরো বিশ্বের জ্ঞানের বার্তা আবর্তিত হয়। এই লক্ষ নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আমাদের সাপ্তাহিক কার্যক্রম শুরু হয় শনিবার বিকেল 4:30 মিনিটে কোনো একটা নির্ধারিত বিষয়ের উপর পাবলিক লেকচারের মধ্য দিয়ে। এখানে একজন বক্তা অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীল ভাবে তার বক্তব্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে। তারপরে বক্তা ও শ্রোতাদের ভিতর প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়। এখানে শ্রোতা তার নিজস্ব অভিমতও প্রকাশ করে থাকে। সন্ধ্যা থেকে প্রতিদিন হাকিম চত্বরে চায়ের আড্ডা বসে। এখানেও জ্ঞানের প্রত্যেকটি শাখা নিয়ে কম বেশি আলোচনা হয়ে থাকে। আমরা মাঝে মাঝে স্টাডি ক্যাম্প করি। বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের স্ট্যাডি ফোরামের শাখা ও কার্যক্রম নিয়ে কাজ তারপর আমাদের জ্ঞানপিপাসু ভাইদের বই পড়ার মিশন তো রয়েছেই। দুই মাসে ২০টি বই, চার মাসে ৫০টি বই পড়ার কার্যক্রম তো রয়েছেই। আগামী ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্ট্যাডি ফোরামের দুই বছরপূর্তি উপলক্ষে একটি আন্তজার্তিক কনফারেন্সের আয়োজন করা হবে। এখানে বিভিন্ন দেশের স্কলাররা এসে তাদের নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর উদ্ভাবনি বক্তব্য প্রদান করবেন। মূলত এই বিষয়গুলো নিয়েই আমরা বেশি আলোচনা করেছি।
ভিসি স্যারের পরামর্শ হচ্ছে যে, আমরা বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করছি কম। বর্তমান যুগের আবর্তনের পিছনে বিজ্ঞানের অবদান সবথেকে বেশি। তাছাড়া তিনি এও বলেছেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ টি বিভাগের মধ্যেই যেন স্ট্যাডি ফোরামের কার্যক্রম যেন শুরু হয়। অসাধারন একটি সন্ধ্যা কাটিয়েছি স্যারের সাথে। অসাধারন পান্ডিত্বের অধিকারী আমাদের প্রিয় শিক্ষক আ অ ম স আরেফিন ছিদ্দিকী স্যার।
বাংলাদেশ স্ট্যাডি ফোরাম Excellence এর অন্য নাম। অসাধারন একটি সন্ধ্যা কাটিয়েছি আমরা। আমাদের এই মহান শিক্ষকরাই আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ স্ট্যাডি ফোরামকে নিয়ে আমরা অনেক দূর চলে যাবো। এই প্রত্যয় নিয়ে আমাদের কার্যক্রম চলতে থাকুক আপন গতিতে।
— জহির রায়হান
No comments